Header Ads

বিজয় দিবস প্রাপ্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ এবং দেশের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধ।

বিজয় দিবস প্রাপ্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ এবং দেশের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধ।


বিজয় দিবসটা আসলে কি?
বিজয় দিবস প্রাপ্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ এবং দেশের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধ।

গতানুগতিক ভাবে বিজয় দিবস বলতে বুঝায়, যে দিবসে বিজয় লাভ করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে তা উদযাপন করা হয়।
বাংলাদেশের অভ্যূদয় ইতিহাসের এক অনিবার্য ফল। আমাদের অতীত ইতিহাস নানা বিপর্যয়েরপ্রতারণানির্যাতনের ও বঞ্চনার। দীর্ঘদিন আমরা বন্দী ছিলাম দাসত্বে। আমাদের চিন্তার আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। বঞ্চনার পাহাড় গড়ে উঠেছিল আমাদের চারদিকে। নবাবী শোষণবেনিয়া শাসন এবং পরবর্তীতে আঞ্চলিক আধিপত্যবাদ আমাদের জাতীয় সত্তার অধিকার অক্টোপাসের মতো চেপে বসেছিল। তা থেকে মুক্ত হবার আকাঙক্ষা থেকে যে সংগ্রামী চেতনা জেগে উঠেছিল তারই ফলশ্রুতিতে স্বাধিকার আন্দোলনস্বাধীনতা সংগ্রাম এবং পরিশেষে বিজয়গর্বে স্বাধীনতা লাভ ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনে এক অবিনাশী স্মৃতিময় আনন্দঘন গর্বিত দিন। আমাদের জাতীয় জীবনে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস হিসেবে চিহ্নিত। এই বিজয় অসত্যের বিরুদ্ধের সত্যেরঅন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের। সে দিন আমরা অন্যায়-অত্যাচার পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে নিজেদেরকে মুক্ত করতে পেরেছি । মুক্ত করতে পেরেছি আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশকে।  দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে ছিনিয়ে এনেছি আমাদের কাঙ্খিত বিজয়। 
এ দিনে এসে পাক হানাদার বাহীনি আত্মসমর্পন করে মুক্তি বাহীনির কাছে। পৃথিবীর মানচিত্রে সৃষ্টি হয় 'বাংলাদেশ' নামে নতুন এক রাষ্ট্রের। আমরা এ বিজয় দিবসকে পালন করে থাকি হৃদয়ের গভীর অনুভূতি দিয়ে।

মুক্তিযোদ্ধা কারা?



বিজয় দিবস প্রাপ্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ এবং দেশের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধ।

গতানুগতিক ভাবে, যারা যুদ্ধে অংশগ্রহন করে তাদেরকে বলা হয় মুক্তিযোদ্ধা। আমাদের এ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করে শিশু-কিশোর, ছাত্র-শিক্ষক নর-নারী সকল পেশাজীবির মানুষ। যার দৃষ্টান্ত আর কোথাও নেই।  আমাদের এ মুক্তিযুদ্ধ শুধু দেশ রক্ষার আন্দোলন ছিল না, এ আন্দোলন ছিল অন্যায়-অত্যাচার বর্বরতা পরাধীনতার কালো অন্ধকার থেকে মুক্তির আন্দোলন। আমরা বাঙালী জাতি কোনো প্রশিক্ষন ছাড়াই অস্ত্র হাতে সেদিন যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেছিলাম নানা পেশাজীবির মানুষ । একটাই উদ্দেশ্য পরধীনতা, অন্যায়-অত্যাচার থেকে মুক্ত হতে হবে। আমরা সেই সে জাতি, যারা সত্যের পক্ষে অসত্যের বিপক্ষে আন্দোলন করতে পিছপা হই না। তাই আমাদের সকল বয়সের সকল পেশাজীবির মানুষ এ মহান যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। 
এ যুদ্ধে অংশ নেয় নাম না জানা অসংখ্য মানুষ। কেউ কেউ অংশ নিয়েছিল সরাসরি অস্ত্র হাতে, কেউ কেউ অংশ নিয়েছিল অস্ত্র সরবরাহের কাজে, কেউ কেউ অংশ নিয়েছিল তথ্য আদান-প্রদানের কাজে, কেউ কেউ যোগান দিয়েছিল খাবারের। প্রতক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে এরা সবাই ছিল মুক্তিযোদ্ধা।

বিজয় দিবস প্রাপ্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগঃ 

বিজয় দিবস প্রাপ্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ এবং দেশের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধ।

মুক্তিযোদ্ধাদের বিশাল ত্যাগ এর ফল ই হচ্ছে আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ। এ বিজয় দিবস প্রাপ্তিতে শহীদ হয়েছে হাজারো মুক্তিযোদ্ধা, অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছে তাদের জীবন। অনেক মুক্তিযোদ্ধা হারিয়েছে তার হাত-পা, চোখ, কথা বলার ক্ষমতা। অনেক মুক্তিযোদ্ধা হারিয়েছে তার পরিবার। অনেক মা হারিয়েছে তার একমাত্র সন্তানকে, অনেক বধু হারিয়েছে তার প্রিয় স্বামীকে, কতো সন্তান হয়েছে পিতা হারা। হাজারো মা-বোন হারিয়েছে তাদের ইজ্জত। হারিয়েছে তাদের শেষ সম্বলটুকু।
কতো শিশু সন্তানকে তার বাবা-মায়ের সামনে বুট দিয়ে পিশে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। পাক হানাদার বাহিনী আমাদের উপর চালিয়েছিল অত্যাচারের স্টিম রোলার। তারপরে ও মুক্তিযোদ্ধারা ভেঙ্গে পরেন নি, পিছিয়ে পরেন নি। শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে ছিনিয়ে এনেছে লাল সবুজের পতাকা।উপহার দিয়েছে সবুজ শ্যামল বাংলাদেশ। তাদের এ ত্যাগের মহিমা বলে শেষ করার মত নয়। তাদের এ ত্যাগের কথা প্রকাশ করার ভাষা আমার জানা নাই।

দেশের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধঃ

বিজয় আমার অহংকার
বিজয় আমার স্মৃতী।
বিজয় আমার প্রেরনা 
বিজয় আমার প্রীতি।
বিজয় আমার ভাই হারানো বোনের ব্যাথা
বিজয় আমার স্বামীহারা বধুর কথা।
বিজয় আমার ছেলে হারা মায়ের আহাজারী
বিজয় আমার ধ্বর্ষীতা এই বাংলাদেশী নারী।
বিজয় দিনের নিশান নিয়ে গড়তে হবে দেশ
সন্ত্রাশমুক্ত সুখী সুন্দর সোনার বাংলাদেশ।

আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনিদেখেছি মুক্তিযোদ্ধা। দেখেছি তার চোখে দেশ আর তার মানুষগুলো নিয়ে ভেঙে যাওয়ার হাজারো স্বপ্ন। আমরা যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিতার পূরণের দায়িত্ব বোধ হয় কোথাও না কোথাও আমাদেরই ছিল। আজও যখন দেখি আমার সামনে একটি শিশু তার পড়াশোনা আর খেলার বয়সটিতে মানুষের কাছে ক্ষুধার জ্বালায় অর্থের ভিক্ষা করেঠিক তখনই মনে হয় কোথায় স্বাধীনতাআমিও আমার দেশকে ভালোবাসি অন্য সবার মতইকিন্তু আমিও হতাশ। আমিআমরা সবাই চাইদেশকে তাঁর উপযুক্ত অবস্থানটিতে পৌঁছে দিতে। তাই আজ আমাদের সবার একত্র কাজ করে যেতে হবে দেশের কল্যাণে। যে লাল-সবুজের পতাকা আমরা পেয়েছি লাখো মানুষের জীবনের বিনিময়েহাজারো স্বার্থ ত্যাগের বিনিময়েসেই লাল সূর্য দেখে দেশের প্রতিটি শিশু যেন উজ্জ্বল হাসিটি হাসতে পারেএটাই আমাদের আশা। আমাদের দেশ ভরে উঠুক সবুজে সবুজে। আসুনআমরা এগিয়ে নিয়ে যাই দেশকে ।



আমি নিজেকে একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার গড়ে তুলে কিভাবে  দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারিঃ

তরুনরাই গরবে দেশ,
বিজয় দিবস প্রাপ্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ এবং দেশের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধ।
ডিজিটাল হবে বাংলাদেশ।
বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমি নিজেকে একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে গড়ে তুলে দেশের উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা রাখতে পারি। অনলাইনের মাধ্যমে মার্কেটিং করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায় । যার ফলে দেশের রেমিটেন্স বৃদ্ধি পায়। অনলাইনে মার্কেটিং করে ভাল করার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। যার দরুন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার ই পারে নিজের আত্ম কর্মসংস্থানের পাশা-পাশি অন্যের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করতে। যার কারনে বেকার সমস্যা সমাধান হবে। দেশ এগিয়ে যাবে উন্নতির শিখরে।

No comments

Powered by Blogger.